সায়েন্স

মহাবিশ্বের যা কিছু পর্যবেক্ষণযোগ্য, পরীক্ষণযোগ্য ও যাচাইযোগ্য, তার সুশৃঙ্খল, নিয়মতান্ত্রিক গবেষণা ও সেই গবেষণালব্ধ জ্ঞানভাণ্ডারের নাম বিজ্ঞান। বিজ্ঞান হল প্রকৃতির রহস্য উদঘাটনের মাধ্যম, যা আমাদের চারপাশের জগতকে বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।  

আল-কুরআন শ্রেষ্ঠতম মহাবিজ্ঞান। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআনুল কারিমে বলেন-‘শপথ বিজ্ঞানময় কুরআনের।’(সূরা ইয়াসীন:২)।    

পবিত্র কুরআনে জ্যোতিষ শাস্ত্র, বিশ্ব সৃষ্টি ও মহাবিস্ফোরণ (বিগ ব্যাং), থিওরি অফ রিলেটিভিটি, মহাকাশবিজ্ঞান, ব্ল্যাক হোল সহ বিজ্ঞানের সকল বিষয় উল্লেখ রয়েছে। যেমন পদার্থবিজ্ঞান, পানিবিজ্ঞান, পানিচক্র, ভূ-তত্ত্ব বিজ্ঞান, পাহাড় পর্বতের রহস্য, মহাসাগর, মিষ্টি ও লবণাক্ত পানির বিবরণ, উদ্ভিদ বিজ্ঞান, প্রাণিবিজ্ঞান, পাখির উড্ডয়ন, মৌমাছির দক্ষতা, মাকড়সার জাল, পিপিলিকার জীবনধারা ও যোগাযোগ, চিকিৎসাবিজ্ঞান, শরীরতত্ত্ব, রক্ত চলাচল, দুগ্ধ ও ভ্রূণতত্ত্ব ইত্যাদি।

বর্তমান বিশ্ব বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও প্রকৌশল নির্ভর। কুরআন চর্চা ও গবেষণা থেকে শুরু করে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক লেখাপড়ার জন্য এ তিনটি বিষয়ের গভীর জ্ঞান থাকা অপরিহার্য। এ তিনটি বিষয় যে জাতি যত বেশি জানতে পারবে, সে জাতি তত বেশি উন্নতির চরম শিখরে আরোহণ করতে পারবে। আজ পৃথিবীর সকল উন্নত বিশ্ব এ তিনটি বিষয়কে উন্নতির হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে। আধুনিক চাষাবাদ, হাতের মোবাইল, কম্পিউটার, মোটরযান, বিমান, বৈদ্যূতিক ক্রিয়াকলাপ, আধুনিক চিকিৎসা, গবেষণা, দূরশিক্ষণ ও প্রাত্যাহিক জীবনের প্রায় সকল কাজে এ তিনটি বিষয় প্রয়োগ হচ্ছে।কুরআনের গভীর রহস্য বা বিজ্ঞানময়তা বোঝতে এ তিন বিষয়ে গবেষণা করতে হবে। আমরা প্রাইমারী, উচ্চ মাধ্যমিক, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রফেশনাল পর্যায়ে এ তিনটি বিষয়কে সহজ, ব্যতিক্রম ও আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি, যাতে সকল স্তরের শিক্ষ্মর্থীরা বোঝতে পারে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও প্রকৌশল কি, কোথায় এদের ব্যবহার, কিভাবে এগুলো জয় করা যায়।

আমরা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিদ্যা প্রত্যেককে ৭টি বিশ্বে ভাগ আলোচনা করেছি, যার মধ্যে এগুলোর ইতিহাস,ব্যবহার, সৌন্দর্য, আনন্দ, ভীতি, টিচিং পদ্ধতি ও উচ্চতর গবেষণা রয়েছে।

এ তিনটি বিষয়ের উপর গৃহীত প্রোগ্রামসমূহের মাধ্যমে একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সমৃদ্ধ জাতি গঠন হবে বলে আশা রাখছি।