কোরআন

পবিত্র মহাগ্রন্থ আল-কুরআন মানবজাতির জন্য বিশেষ এক নেয়ামত । পবিত্র কোরআন এমন একটি অলৌকিক গ্রন্থ যেখানে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং, গণিত সহ জ্ঞানতত্ত্বের সকল বিষয়সমূহ উল্লেখ রয়েছে।   

মহান আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীন জ্বীন ও মানুষকে একমাত্র তাঁর ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন (সুরা  যারিয়াত, আয়াত ৫৬)। ইবাদাত কি ? ইবাদাত বলতে সাধারণত নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাত  ইত্যাদি মনে করা হয়। তবে ইসলামে ইবাদাতের ধারণা আরো বিস্তৃত। প্রত্যেক এমন কাজ যা আল্লাহ ভালোবাসেন এবং যাতে তিনি খুশি হন, তা ইবাদাত। যে কাজ আল্লাহ অপছন্দ করেন এবং যাতে তিনি ক্ষুব্ধ হন তা পরিহার করা ইবাদাত। ইবাদাত করার জন্য একটা গাইড লাইন দরকার, তা হচ্ছে মহাগ্রন্থ আল-কুরআন। পৃথিবীর এমন কিছুই নেই যা আল্লাহ পাক কুরআনে বর্ণনা করেননি। আল্লাহ পাক সূরা আদ-দোহার শেষ অর্থাৎ ১১ নং আয়াতে বলেছেন, আমি তোমাকে যে নিয়ামত দান করেছি তা তুমি বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দাও। এখানে নিয়ামত বলতে কুরআনুল হাকিমকে বোঝানো হয়েছে।     

রমজান মাসের এত মর্যাদা যেহেতু এ মাসে কুরআন নাযিল হয়েছে, জিব্রাইলের এত মর্যাদা যেহেতু তাঁর মাধ্যমে কুরআন নাযিল হয়েছে, শবে কদরের এত মর্যাদা যেহেতু ওই রাতে কুরআন নাযিল হয়েছে, নবীর এত মর্যাদা যেহেতু তাঁর উপর কুরআন নাযিল হয়েছে, যে সকল নবী রাসূলগণ ও খোলাফায় রাশেদিনগণ কুরআন ফলো করতেন তাঁদের মর্যাদা এত বেশি, হাফেজ সাহেবেরা কুরআন ধারণ করেন, তাই তাঁদের মর্যাদা বেশি, মুফাসসিরগণ কুরআন তাফসীর করেন তাই তাঁদের মর্যাদা বেশি, যে সকল রাষ্ট্র কুরআন অনুযায়ী চলে সে সকল রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী সকল জনগণের মর্যাদা এত বেশি, আমরা যারা কুরআন মানি অর্থাৎ কুরআন অনুযায়ী চলি এবং কুরআনের শাসন চাই অবশ্যই আমাদের মর্যাদা অন্যদের চেয়ে অনেক অনেক বেশি। কাজেই কুরআন সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য এক মহা নেয়ামত।

আল্লাহ আমাদেরকে আরও অগণিত নিয়ামত দান করেছেন। এর মধ্যে একটি বড় নিয়ামত হচ্ছে আমাদেরকে প্রদত্ত জ্ঞান (knowledge)। জ্ঞানের ভান্ডার হচ্ছে কুরআনুল কারিম। কুরআন জানলে মানুষ পথহারা হবে না, মানুষ অন্ধকার থেকে আলোর দিশা পাবে, সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠা হবে, সমাজ থেকে জুলুম অত্যাচার দুর হবে, জালিম কেউ রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করতে পারবেনা, যাকাতের টাকায় সকল গরীব দুঃখীদের ন্যূনতম খাবারের ব্যবস্থা হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, কুরআন জানলে জানা যাবে সায়েন্স বা বিজ্ঞান, টেকনোলজি বা প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং বা প্রকৌশল ইত্যাদি।